লালমনিরহাট ও কালীগঞ্জ প্রতিনিধি
লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা এবং কাশীরাম আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সামছুল হকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত রোববার দুপুরে লালমনিরহাট বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ রোকন উদ্দিন আহম্মেদ।
আদালত মামলা গ্রহণ করে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মাওলানা সামছুল হক জরুরি ক্ষমতা আইনে একটি মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে আটক আছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, মাওলানা সামছুল হক জাল সনদের মাধ্যমে পদোন্নতি নিয়ে ১৯৯০ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অবৈধভাবে সরকারি বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন। মাঝে ১৯৯৪ সালে জাল সনদের বিষয়টি ধরা পড়ে। ১৯৯৫ সালে জেলা প্রশাসকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা না করার সিদ্ধান্ত নেয় মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু ১৯৯৭ সালে তিনি প্রভাব খাটিয়ে এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করান। আর বিগত জোট সরকারের সময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়। অবশেষে গত ৩ ডিসেম্বর পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে গত শুক্রবার কালীগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ আবদুল গফুর মাস্টারের স্ত্রী সালমা বেগম (৬০) এক সংবাদ সম্মেলনে সামছুল হকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে হত্যার অভিযোগ করে তাঁদের বিচার দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৭১-এর মার্চের শেষের দিকে বাড়ি থেকে তাঁর স্বামীকে সামছুল হকসহ কয়েকজন রাজাকার ডেকে নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে নির্মমভাবে হত্যা করে। কয়েক দিন পর গফুর মাস্টারের লাশ কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের পাশের একটি ডোবায় পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন