নিজস্ব প্রতিবেদক
শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার ও তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে 'নির্যাতন করার' প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন কর্মসূচি গতকাল বুধবার পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, জাতীয় প্রেসক্লাব, হাইকোর্টের মূল ফটক, শ্যামলী ও কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন করার চেষ্টা করলেও পুলিশের মারমুখো তৎপরতায় মতিঝিল ও কল্যাণপুর ছাড়া কোথাও দাঁড়াতেই পারেনি জামায়াতকর্মীরা।
বিএনপিকর্মীরা তাদের কর্মসূচি অনুযায়ী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধনে দাঁড়ানোর পর উল্টো দিকের সড়কে জামায়াতকর্মীরা মানববন্ধন করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ বিএনপির মানববন্ধনে বাধা দিলে জামায়াতকর্মীরা আর রাস্তায় দাঁড়াতে সাহস করেনি। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বেশকিছু নেতা-কর্মী ফুটপাতে জড়ো হয়। কিন্তু পুলিশ টের পেয়ে ফুটপাত খালি করে দিলে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও মহানগর সহকারী সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল জাতীয় প্রেসক্লাবের মূল ফটকের ভেতরে গিয়ে বিএনপির কর্মসূচিতে একাত্দ হন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ডা. রেদোয়ান উল্লাহ শাহেদীর নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী মানববন্ধন করার জন্য হাইকোর্টের মূল ফটকে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। একইভাবে মোহাম্মদপুর থানা জামায়াত শ্যামলী বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আসাদগেটের দিকে চলে যায়। নগর কর্মপরিষদ সদস্য এ কে এম রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে অল্প সময়ের জন্য মানববন্ধন করে তারা।
সকাল ১১টা ১০ মিনিটে মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল হালিমের নেতৃত্বে কয়েক শ কর্মী মতিঝিল সিটি সেন্টারের সামনে জড়ো হয়ে কয়েক মিনিটের জন্য মানববন্ধন করে। কর্তব্যরত পুলিশ তাদের দিকে তেড়ে এলে জামায়াতকর্মীরা মানববন্ধন ভেঙে দ্রুত সরে পড়ে। যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কেও জামায়াতের মানববন্ধনের চেষ্টা পুলিশের ধাওয়ায় পণ্ড হয়ে যায়।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, 'পুলিশ তো আমাদের দাঁড়াতেই দিচ্ছে না। এ অবস্থায় কর্মীরা রাস্তায় জড়ো হয়েছে_এটাই তো বেশি।'
মানববন্ধনে পুলিশি বাধার বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা জোনের এডিসি সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'রাস্তায় কাউকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।'
অতীতে পুলিশ কখনো মানববন্ধনে বাধা দেয়নি, এখন কেন দিচ্ছে_এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অতীত ইতিহাস আমার জানা নেই। কেউ রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে।'
No comments:
Post a Comment
মন্তব্য করুন