21 January 2010

চট্টগ্রামে অস্ত্র-গুলি উদ্ধারঃ জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতা-কর্মী রিমান্ডে


নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম | তারিখ: ২২-০১-২০১০

চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রিপাড়ার একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১২ জন নেতা-কর্মীকে গতকাল বৃহস্পতিবার রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ওসমান গণি বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করার পর পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

গত রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত মিস্ত্রিপাড়ার ‘হক ভিলা’ নামের চারতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চারটি রিভলবারসহ সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৭টি গুলি, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও পাউডার এবং বেশ কিছু বই উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার এস এম তানভীর এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, আদালত গতকাল শুনানির পর জামায়াতের সক্রিয় কর্মী একরামুল হকের এক দিনের এবং তাঁর ছেলে কলেজিয়েট স্কুলে পড়ুয়া গোলাম আজম আব্বাসী, শিবিরকর্মী লুত্ফর রহমান, জাহেদ মুনতাসির ও আরিফ হোসেনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া শিবিরকর্মী একরামুল হক, মহিউদ্দিন, সৈয়দ আল আমিন মাহমুদ, মিজানুর রহমান, জহিরউদ্দিন, রকিবুল হোসেন ও মনজুর আলমের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। সোমবার ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মনজুরুল হক আকন্দ ওই ১২ জনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান। আদালত গতকাল রিমান্ড মঞ্জুর করার পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ বিকেলে ডবলমুরিং থানায় নিয়ে যায়।
ডবলমুরিং থানার ওসি প্রথম আলোকে বলেন, ‘হক ভিলা থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের উত্স ও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে আমরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করব।’

জানা যায়, হক ভিলার নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার তিনটি ফ্ল্যাটকে মেস বানিয়ে শিবিরের ৩০-৩৫ জন নেতা-কর্মী থাকতেন। এটিকে ‘এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’ নামে একটি ট্রাস্ট বলে জামায়াত দাবি করেছে, যার চেয়ারম্যান একরামুল হক। জানা গেছে, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার চারটি ফ্ল্যাটের মালিক একরামুল হক। রোববার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে ওই বাড়িতে অভিযানের তিন ঘণ্টা আগে শিবিরের ছয়জন নেতা সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।


খবরের লিংক

No comments:

Post a Comment

মন্তব্য করুন